নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলার পরও ডেড লাইন না দেওয়া একটি রহস্যজনক বিষয়: রিজভী

- আপডেট সময়ঃ ০৯:২২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
- / 46
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন যে, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জনগণের সমর্থন প্রাপ্ত হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাদের সমর্থন প্রদান করেছে। আমরা আপনাদেরকে সমর্থন করে যাচ্ছি। তবে, নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করলেও নির্বাচনের ডেড লাইন নির্ধারণ করা হচ্ছে না। এটি একটি রহস্যজনক পরিস্থিতি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য র্যালি ও মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এসময় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলু।
রিজভী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন আমাদের মাঝে মাঝে আপনাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে হয়। কেন দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে হয়। আপনারা শুল্ক কমিয়ে দ্রব্যমূল্য হ্রাস করতে পারছেন না। কেন সিন্ডিকেটকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছেন না। এই পরিস্থিতির দুর্বলতা কোথায়, তা আমরা জানতে চাই।
তিনি উল্লেখ করেন, আপনারা সংস্কারের প্রসঙ্গ তুলছেন। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুমাত্র একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক? তারা একটি পাঠ গ্রহণ করবেন এবং তার ভিত্তিতে একটি পাঠ্যক্রম তৈরি করবেন। এই পাঠ্যক্রম তৈরি করে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগে শিক্ষাদান করবেন। এটি তাদের ইচ্ছা। বর্তমানে তারা একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। অথচ যারা দেশ পরিচালনা করেছেন, সেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো ১৫-১৬ বছর ধরে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এত রক্তের বিনিময়ে বারবার ক্ষমতা পরিচালনার অভিজ্ঞতা লাভ করছে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল। আপনারা মনে করছেন যে বিএনপির সদস্য বা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা হয়তো অশিক্ষিত। আপনারা মনে করেন, আমাদের আগে সংস্কার শেখাবেন এবং তারপর নির্বাচন দেবেন। এটি একটি ভুল ধারণা।
এ সময় রিজভী একজন উপদেষ্টার সমালোচনা করে বলেন, একজন উপদেষ্টা আমাদেরকে বলেন যে শুধু নির্বাচন করলেই হবে, আমরা তাদেরকে বলতে চাই, আপনি কি হেডমাস্টার? আমরা কি শুধুই ছাত্র? আপনি আমাদের আগে শিক্ষা দেবেন, তারপর আমরা শিখব এবং পড়াশোনা করব। আমরা কি সংস্কার সম্পর্কে জানি না? আপনি একটি প্রস্তাব দিতে পারেন, কিন্তু সেই প্রস্তাব দিতে কত দিন লাগে? সেই প্রস্তাব নির্বাচিত সরকারের কাছে দিতে হবে, এজন্য নির্বাচন দিন।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শমীম। তিনি বলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হামিদ হেলালসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত পরিবারের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।