০২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

শেষ মুহূর্তের গোলে রুদ্ধশ্বাস জয়লাভ করলো বাংলাদেশ।

  • আপডেট সময়ঃ ১১:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / 44

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ইনজুরি সময়ে পাপন সিংয়ের গোলে মালদ্বীপকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে বছরের শেষ ম্যাচটি উৎসবমুখর করে তুলেছে।

শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় পাপন সিং গোলটি করেন। সোহেল রানার পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে প্রবেশ করেন আবাহনীর এই মিডফিল্ডার। যখন দর্শকরা মনে করছিলেন ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হবে, তখন পাপন একটি গোল করে গ্যালারিতে উল্লাসের সৃষ্টি করেন। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা নিজেদের সম্মান রক্ষা করেছে।

বুধবার মালদ্বীপ ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। এটি দেশটির ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশে এসে জয় অর্জনের ঘটনা ছিল। যদিও সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তারা সফল হতে পারেনি।

বাংলাদেশ সিরিজের দুই ম্যাচে আক্রমণাত্মক ফুটবল প্রদর্শন করেছে। প্রথম ম্যাচে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার কারণে পরাজিত হয়েছে। রাকিব, মোরসালিন এবং ফাহিমরা অনেক সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। ২৩ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশকে হারানোর শঙ্কা দেখা দেয়। এই গোলটি বাংলাদেশের তিন ডিফেন্ডার রিদয়, তপু এবং সাদ উদ্দিনের ভুলের কারণে হয়েছিল।

পিছিয়ে পড়ার পর মজিবর রহমান জনি বিরতির আগে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। ফাহিমের পাস থেকে পাওয়া বলটি কোনাকুনি শটে অসাধারণভাবে গোল করেন। বিরতির পর বাংলাদেশ আক্রমণ বাড়িয়ে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর আসেনি। মোরসালিন এবং বদলি নোভা সহজ গোলের সুযোগ মিস করায় দর্শকদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।

বাংলাদেশ শিবিরে প্রাণের সঞ্চার ঘটান মিডফিল্ডার পাপন সিং। অন্য একটি বদলি চন্দন রায় ডান দিক থেকে ক্রস পাঠালে চলন্ত বলের দিকে পা বাড়ান পাপন সিং। বলটি মালদ্বীপের জালে প্রবেশ করে। সঙ্গে সঙ্গে গ্যালারিতে উল্লাসের ঢেউ বয়ে যায়।

এ বছর বাংলাদেশ দুটি আন-অফিসিয়াল প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে তাদের অভিযান শুরু করে। মার্চ মাসে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের সময় আফ্রিকার দেশ সুদানের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলে, প্রথমটি গোলশূন্য ড্র হয় এবং দ্বিতীয়টি তারা ৩-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে।

এরপর বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চারটি ম্যাচ খেলেছে। সেপ্টেম্বরে ভুটানে গিয়ে একটি ম্যাচ হারার পর আরেকটি ম্যাচ জিতে দেশে ফিরে, এরপর ঘরের মাঠে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে এই সিরিজ আয়োজন করে। বছরের শেষ ম্যাচটি জিতে রাকিব, জনি ও পাপন সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেষ মুহূর্তের গোলে রুদ্ধশ্বাস জয়লাভ করলো বাংলাদেশ।

আপডেট সময়ঃ ১১:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ইনজুরি সময়ে পাপন সিংয়ের গোলে মালদ্বীপকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে বছরের শেষ ম্যাচটি উৎসবমুখর করে তুলেছে।

শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় পাপন সিং গোলটি করেন। সোহেল রানার পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে প্রবেশ করেন আবাহনীর এই মিডফিল্ডার। যখন দর্শকরা মনে করছিলেন ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হবে, তখন পাপন একটি গোল করে গ্যালারিতে উল্লাসের সৃষ্টি করেন। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা নিজেদের সম্মান রক্ষা করেছে।

বুধবার মালদ্বীপ ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। এটি দেশটির ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশে এসে জয় অর্জনের ঘটনা ছিল। যদিও সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তারা সফল হতে পারেনি।

বাংলাদেশ সিরিজের দুই ম্যাচে আক্রমণাত্মক ফুটবল প্রদর্শন করেছে। প্রথম ম্যাচে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার কারণে পরাজিত হয়েছে। রাকিব, মোরসালিন এবং ফাহিমরা অনেক সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। ২৩ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশকে হারানোর শঙ্কা দেখা দেয়। এই গোলটি বাংলাদেশের তিন ডিফেন্ডার রিদয়, তপু এবং সাদ উদ্দিনের ভুলের কারণে হয়েছিল।

পিছিয়ে পড়ার পর মজিবর রহমান জনি বিরতির আগে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। ফাহিমের পাস থেকে পাওয়া বলটি কোনাকুনি শটে অসাধারণভাবে গোল করেন। বিরতির পর বাংলাদেশ আক্রমণ বাড়িয়ে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর আসেনি। মোরসালিন এবং বদলি নোভা সহজ গোলের সুযোগ মিস করায় দর্শকদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।

বাংলাদেশ শিবিরে প্রাণের সঞ্চার ঘটান মিডফিল্ডার পাপন সিং। অন্য একটি বদলি চন্দন রায় ডান দিক থেকে ক্রস পাঠালে চলন্ত বলের দিকে পা বাড়ান পাপন সিং। বলটি মালদ্বীপের জালে প্রবেশ করে। সঙ্গে সঙ্গে গ্যালারিতে উল্লাসের ঢেউ বয়ে যায়।

এ বছর বাংলাদেশ দুটি আন-অফিসিয়াল প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে তাদের অভিযান শুরু করে। মার্চ মাসে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের সময় আফ্রিকার দেশ সুদানের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলে, প্রথমটি গোলশূন্য ড্র হয় এবং দ্বিতীয়টি তারা ৩-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে।

এরপর বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চারটি ম্যাচ খেলেছে। সেপ্টেম্বরে ভুটানে গিয়ে একটি ম্যাচ হারার পর আরেকটি ম্যাচ জিতে দেশে ফিরে, এরপর ঘরের মাঠে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে এই সিরিজ আয়োজন করে। বছরের শেষ ম্যাচটি জিতে রাকিব, জনি ও পাপন সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেয়।