অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে, আরও কম হতে পারে : ড. ইউনূস

- আপডেট সময়ঃ ১০:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
- / 48
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হতে পারে, এমনকি এটি আরও কম হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান। সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৯) এ অংশগ্রহণ করেন ড. ইউনূস।
সেখানে সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘টক টু আল জাজিরা’ শোতে তিনি এই সাক্ষাৎকারটি প্রদান করেন। পরে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করে।
তিনি সরকারের মেয়াদ সম্পর্কে আরও বলেন, “মানুষের চাহিদা এবং রাজনৈতিক দলের আকাঙ্ক্ষা— এটাই মূল বিষয়। যদি রাজনৈতিক দলগুলো বলে যে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়টি বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে হবে, তাহলে আমরা সেটাই অনুসরণ করব।”
ড. ইউনূসের এই বক্তব্যের পর উপস্থাপক নিক ক্লার্ক মন্তব্য করেন, যে মেয়াদের ধারণা দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী ড. ইউনূস “প্রায় একটি নির্বাচনী মেয়াদের” জন্য সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “আমি বলিনি যে— আমি চার বছর (সরকারের প্রধান) থাকব। আমি বলছি, এটি আমাদের সর্বোচ্চ মেয়াদ হতে পারে, কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য তা নয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে— যত দ্রুত সম্ভব সব কাজ সম্পন্ন করা।”
নিক ক্লার্ক তখন ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন— তিনি কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। ড. ইউনূসের উত্তর ছিল, “না, আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। আমি আমার কাজ এবং জীবনের শেষ পর্যায়ে যা করছি তা উপভোগ করছি। আমি এটি পরিবর্তন করতে চাই না।”
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস রাষ্ট্রীয় সংস্কার, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা, সংখ্যালঘুদের অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে বর্তমানে ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান এবং সেখানে তার দেওয়া বিবৃতিগুলোকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা তার এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি কারণ এসব বিষয় বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে। তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন। বাংলাদেশের জন্য এটি মোটেও সহায়ক হবে না।”