চাকরিতে প্রবেশের জন্য বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি

- আপডেট সময়ঃ ১২:২৫:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
- / 45
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল করপোরেশন এবং স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা অত্যাবশ্যক ও যুক্তিসঙ্গত। যেহেতু সংসদ ভেঙে গেছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এটি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান। তাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নলিখিত অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।’
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই অধ্যাদেশটি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল করপোরেশন এবং স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে ২০২৪ নামে পরিচিত হবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘বর্তমানে বলবৎ অন্য কোনো আইন, বিধিমালা, প্রবিধান, আদেশ, নির্দেশ বা আইনগত দলিলে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই অধ্যাদেশের বিধানসমূহ প্রাধান্য পাবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতার বাইরে সকল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর চাকরির যে সকল পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বা অনূর্ধ্ব ৩২ বছর উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে উক্ত বয়সসীমা ৩২ বছর দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। এছাড়া, প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিয়মাবলী অনুসরণ করা হবে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই অধ্যাদেশ কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় যদি কোনো অস্পষ্টতা বা সমস্যা দেখা দেয়, তবে সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে, এই অধ্যাদেশের বিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে অস্পষ্টতা বা সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবে।’