মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোর আঘাতে নিহত ১৫।

- আপডেট সময়ঃ ১০:৩০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 60
মোজাম্বিকের উত্তরাঞ্চলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় চিডোর আক্রমণে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিডাকশন (আইএনজিডি) জানিয়েছে, রবিবার এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশটিতে আঘাত হেনেছে। এর ফলে হতাহতের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
গত সোমবার নামপুলা প্রদেশের মেম্বা জেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইএনজিডির প্রেসিডেন্ট লুইসা মেকে জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৫,৮৩২টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এখনও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মেকে উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা আরও তথ্য পেয়েছি যে মেম্বা জেলায় ৬৯টি নৌকা নিখোঁজ এবং ১০২টি নৌকা ধ্বংস হয়েছে।’
দেশটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মোজাম্বিক ইলেকট্রিসিটি বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নামপুলা ও কাবো দেলগাদো প্রদেশের প্রায় দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
জাতীয় আবহাওয়া ইনস্টিটিউট (আইএনএএম) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল বাতাস নিয়ে কাবো দেলগাদো, নামপুলা ও নিয়াসা প্রদেশে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে মাঝারি ধরনের গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছে।
আইএনএএম-এর আবহাওয়াবিদ অ্যাকাসিও টেম্বে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তিস্থল মালাউইর দিকে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ তেতে, জামবেজিয়া ও মানিকায় প্রভাব ফেলতে পারে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।